ঘরে, বারান্দায় বা ছাদে একটুখানি বাগান। একদিকে মনে আনে প্রশান্তি, অন্যদিকে উৎপাদন করে বিশুদ্ধ অক্সিজেন। গাছের পরিচর্যা নিয়ে লিখলেন শফিকুর রহমান

l সবার আগে টবে গাছের জন্য উপযুক্ত টব বেছে নিন। উপযুক্ত জায়গায় টব রাখুন।

l রাতে ১০০ গ্রাম শুকনো মরিচের গুঁড়ো ১০ লিটার পানিতে ভিজিয়ে সকালে ছেঁকে নিন। এবার অল্প পরিমাণ গুঁড়ো সাবান মিশিয়ে একটু ফেনা করে স্প্রে করতে পারেন রোদ থাকাকালীন। গাছের বৃদ্ধি ভালো হবে।

l চায়ের পাতা, ডিমের খোসা, আলুর খোসা কিংবা চাল ধোয়া পানি গাছের জন্য উপকারী। চা পাতা, ডিমের খোসা, গোবর, শুকনো পাতা এক জায়গায় কিছুদিন রেখে দিন। ভালো জৈব সার তৈরি হবে।

জৈব সার বানানোর কৌশল জেনে নিন। উপকরণ ডিমের খোসা, কলার খোসা ও কফি। প্রথমে ডিম, কলার খোসা ও কফি একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে রাখুন। কিছুদিন পর গাছের গোড়ার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিন। কিছুদিন পরপর মাটি ছুরি দিয়ে ওলট-পালট করে দিন।

l টব ধুয়ে নিন। গাছের চারা, দেখে কিনতে হবে রোগমুক্ত কি না। তারপরও পাতা হালকা সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। শুকনো দূর্বাঘাস টবের মাটির মাঝামাঝি দিয়ে তার ওপর মাটি দিয়ে চারাগাছ লাগানো যায়। চারা কিনলে ছোট কেনা উত্তম। নিমপাতা গরম পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি গাছের গায়ে স্প্রে করতে পারেন।

l এক গ্যালন পানিতে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। তারপর স্প্রে করতে পারেন। এক গ্যালন (ইউএস) হলো ৩ দশমিক ৭ লিটার। টবে লাগানো গাছে খৈল দিলে পিঁপড়ার উপদ্রব হতে পারে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে সাত দিনে একবার চুনের পানি স্প্রে করা যায়।

l টব ঝুলিয়ে রাখতে হলে এমনভাবে রাখবেন, যেন পরিচর্যার অসুবিধা না হয়। টবে যেন ছিদ্র থাকে। না থাকলে গাছ বাঁচবে না। বাচ্চারা ফেলে দিতে পারে এমন জায়গায় টব রাখবেন না। জেড প্ল্যান্ট, এরিকা পাম_ এসব গাছে পানির দরকার কম হয়। সাত দিনে দুবার অল্প পরিমাণ পানি দিলেই হয়। গাছের পাতায় কিছুটা পানি স্প্রে করে দিন।

মন্তব্যসমূহ